অমলাকে আজ দেখতে আসবে। পাত্রের নাম অৰ্পণ । নাম শুনেই অমলার বুকটাতে যেন অরুণ আভা ছড়িয়ে গেল। কল্পনায় সে কত ছবিই না আঁকলে । সুন্দর, সুশ্ৰী, যুবা-বলিষ্ঠ, মাথায় টেরি, গায়ে পাঞ্জাবী-সুন্দর সুপুরুষ।
অরুণের ভাই বরুণ তাকে দেখতে এল । সে তাকে আড়াল থেকে দেখে ভাবলে—আমার ঠাকুর-পো!
মেয়ে দেখা হয়ে গেল। মেয়ে পছন্দ হয়েছে। একথা শুনে অমলার আর আনন্দের সীমা নেই। সে রাত্রে স্বপ্নই দেখলে ।
বিয়ে কিন্তু হল না—দরে বন্ল না ।
আবার’ কিছুদিন পরে আমলাকে দেখতে এল। এবার পাত্ৰ স্বয়ং।। নাম হেমচন্দ্ৰ। এবার ও অমলা লুকিয়ে আড়াল থেকে দেখলে বেশ শান্ত সুন্দর চেঙ্গারা—ধপধপে রঙ— কেঁকড়া চুল—সোনার চশমা-দিব্যি দেখতে ।
আবার আমলার মন ধীরে ধীরে এই নবীন আগন্থকের দিকে এগিয়ে গেল ।
ভাবলে—ক’ত কি ভাবলে !
এবার দরে বন্ল-কিন্তু মেয়ে পছন্দ হল না।
অবশেষে মেয়েও পছন্দ হল— দরে ও বন্ল-বিয়ে ও হল। পাত্ৰ বিশ্বেশ্বরবাবু। মোটা কালো গোলগাল হৃষ্টপুষ্ট ভদ্রলোক—বি. এ. পাশ-সদাগরি আপিসে চাকরি করেন ।
অমলার সঙ্গে যখন তার শুভদৃষ্টি হল— তখন কি জানি কেমন একটা মায়ায় অমলার সার বুক ভরে গেল। এই শান্ত শিষ্ট নিরাক্ত স্বামী পেয়ে অমলা মুগ্ধ হ'ল।
অমলা সুখেই আছে।
0 comments:
Post a Comment
[বি:দ্র: এই সাইটের বেশির ভাগ লেখা ছোটদের জন্য, তাই দয়া করে এমন মন্তব্য করবেন না যাতে করে আমাদের ক্ষুদে পাঠকদের মানসিকতার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। ধর্ম নিয়ে কিংবা এমন কোন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ রইল। যদি গল্পটি ভালোলোগে তবে নিশ্চয় মন্তব্য করুন, আপনার সুগভীর মন্তব্য অন্যকে গল্পটি পড়তে অনুপ্রাণিত করবে। ] ধন্যবাদ